ঋতু পরিবর্তনে শিশুর যত্ন
বসন্ত মানেই ঋতু পরিবর্তনের সময়। শীতের পর হালকা গরম শুরুর সময়। ঋতু পরিবর্তনের এই সময় শিশুরা যেন একটু বেশিই অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হয়। তাই এ সময় শিশুকে সুস্থ রাখতে প্রয়োজন বাড়তি যত্ন।

বদলে গেছে মৌসুম। শীত বিদায় নিলেও সকাল-সন্ধ্যায় বসন্তের বাতাসে এখনও কিছুটা শীতের ছোঁয়া। আবার গরমও তার অস্তিত্ব জানান দিতে শুরু করেছে। ঋতুটা আরামদায়ক হলেও ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টাতে শিশুরা নানারকম অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হয়। তাই এ সময় আবহাওয়ার পরিবর্তন বুঝে শিশুর যত্ন নিতে হবে।
আবহাওয়া বুঝে পোশাক
যদিও শীতের ছোঁয়া এখন আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না প্রকৃতিতে। তবে রাত আর ভোরের দিকে হালকা শীতের বাতাসের রেশ রয়ে গেছে এখনও। আবহাওয়ার এই পরিবর্তন বুঝে শিশুর পোশাক নির্বাচন করুন। শীত চলে গেছে ভেবে শিশুকে একেবারে পাতলা কাপড় পরিয়ে রাখবেন না। আবার শীতের ভারী কাপড় পরিয়ে শিশুর ঘাম ঝরাবেন না। এতেও শিশুর ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে। দিনে ও রাতের তাপমাত্রা বুঝে শিশুকে পোশাক পরান।

প্রতিদিন গোসল
শীত, গরম কিংবা বদলে যাওয়া আবহাওয়া যাই হোক শিশুকে প্রতিদিন গোসল করাতে হবে। তবে গরম পড়তে শুরু করেছে বলেই যে স্বাভাবিক পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে, তা নয়। শিশুর ঠাণ্ডার সমস্যা থাকলে এখনও হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করিয়ে দিন। জীবাণুমুক্ত রাখতে গোসলের পানিতে মিশিয়ে দিতে পারেন অ্যান্টিসেপটিক লিকুইড।
যত্ন নিন ত্বকেরও
শীত থেকে গরমে আসার সময়টাতে শিশুর ত্বক খসখসে হয়ে যায়। তাই গোসলের পর শিশুর শরীর ও মুখে ভালোমানের বডি লোশন ও ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে দিন। যেহেতু এখন দিনের বেলায় হালকা গরমও পড়ছে তাই ঘাম আটকে শিশুর বগলের নিচে, কুচকিতে ফাঙ্গাল ইনফেকশন দেখা দিতে পারে। এ সব সমস্যা থেকে শিশুকে দূরে রাখতে হাত-মুখ ধোয়ার পর শিশুর ত্বকে বেবি লোশন লাগিয়ে দিন। শিশুর ত্বক নরম ও কোমল রাখতে অলিভ অয়েলও উপকারী। এ ছাড়া গোসলের সময় শিশুর বগল, গলার নিচের জায়গাগুলো পরিষ্কার করে দিতে হবে।

বুঝে-শুনে ফ্যানের বাতাস
বড়দের অবশ্যই আবহাওয়ার পরিবর্তন বুঝে শিশুর যত্ন নিতে হবে। এখন দিন ও রাতের কখনও একদম গরম তো কখনও হালকা শীতের পরশ। দিন ও রাতের যে সময়ে গরম অনুভূত হয়, তখন বেশি গতিতে ফ্যান চালানো যাবে না, শেষ রাতের দিকে ফ্যান বন্ধ করে রাখুন। অনেক সময় শুধু ফ্যানের বাতাসের কারণেও শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে।
খাবার-দাবার
ঋতু পরিবর্তনে শিশুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয় বেশি, তাই এ সময় শিশুকে ভাজাপোড়া খাবার, বাসি কেক, পেস্টি, দোকানের জুস থেকে দূরে রাখুন।