শিশুকে ডায়াপার পরানোর সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে
ডায়াপার ব্যবহারে শিশু থাকে আরামে, তেমনি বাবা–মায়েরাও থাকেন অনেকটা নিশ্চিন্তে। তবে ডায়াপার ব্যবহারেও দেখা যেতে পারে সমস্যা। তাই ডায়াপার পরানোর সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে
আধুনিক যুগে সময় বাঁচাতে এবং কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্য পেতে বাবা–মায়েরা সন্তানের জন্য বেছে নিচ্ছেন ডায়াপার। বিশেষ করে শীতের এ সময়ে রাতে ডায়াপার ব্যবহারে শিশু যেমন আরামে ঘুমাতে পারে, তেমনি বাবা–মায়েরাও থাকেন অনেকটা নিশ্চিন্ত। শীতকালে সন্তানের পরিপূর্ণ ঘুমের জন্য ডায়াপার ব্যবহার করা যেতেই পারে। কিন্তু এটি ব্যবহারের সময়, নিয়ম ও পদ্ধতি না জানার কারণে শিশুর অস্বস্তি হয়। তা ছাড়া ত্বকেও দেখা দেয় র্যাশ, এমনকি ঠান্ডা লেগে জ্বরও হয়ে যেতে পারে।
ডায়াপার থেকে র্যাশ হওয়ার কারণসমূহঃ
- ডায়াপারের সঙ্গে ত্বকের ঘষা
- দীর্ঘ সময়ের জন্য শিশুর ডায়াপার ভেজা অথবা ময়লা থাকলে
- ইস্টের সংক্রমণ হলে
- ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে
- সাবান, ডায়াপার ও ওয়াইপসে সুগন্ধি বা অ্যালকোহল যুক্ত থাকলে।
অনেক সময় সচেতন থাকার পরও ডায়াপার পরানোর কারণে শিশুর ত্বকে র্যাশ হয়ে যায়। এ সমস্যা থেকে রেহাই পেতে ঘরোয়া কিছু উপায় রয়েছে। অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যের জন্য নারকেল তেল বেশ সুপরিচিত। শিশুর ডায়াপারজনিত র্যাশ প্রতিকারের জন্যও এটি বেশ ভালো কাজ করবে। কুসুম গরম পানি দিয়ে শিশুর নিতম্ব ধুয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে শুকনা করে মুছে নিন। পরিষ্কারের পর ১ টেবিল চামচের অর্ধেক পরিমাণ নারকেল তেল ফুসকুড়ি বা র্যাশের ওপরে দিয়ে দিন।
ডায়াপারজনিত ফুসকুড়ি বা র্যাশ থেকে আরাম পাওয়ার জন্য বুকের দুধ বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। কয়েক ফোঁটা বুকের দুধ নিয়ে র্যাশের ওপরে দিয়ে দিন এবং শুকিয়ে যেতে দিন। এরপর পরিষ্কার ডায়াপার পরিয়ে দিন।
ডায়াপার পরানোর আগে ভালো করে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করবেন। একইভাবে অ্যালোভেরার জেলও ব্যবহার করতে পারেন। র্যাশ না হলেও এই শীতে পেট্রোলিয়াম জেলির প্রলেপ শিশুর ডায়াপারের ভেতরের অংশকে সুরক্ষিত রাখবে।
দিনের কিছুটা সময় শিশুকে ডায়াপার ছাড়া রাখুন। এতে ত্বক বাতাসের সংস্পর্শ পাবে। র্যাশ চলে যাবে তাড়াতাড়ি।
এরপরও যদি জ্বর, ফোসকা, বারবার র্যাশ হয়, ডায়াপার পরানো অংশ অস্বাভাবিক ফুলে যায়, তবে শিশুকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
এ ছাড়া বাইরে বেরোনোর সময় ডায়াপার পরালে কিছুক্ষণ পরপর পরীক্ষা করুন। ভিজে গেলেই বদলে দিন। এমনকি শিশু মলমূত্র ত্যাগ না করলেও দুই ঘণ্টা পরপর ডায়াপার বদলান। এমনিতেই মোটা প্যাডিং থাকায় তা শরীরকে গরম রাখে, নরম চামড়ার ওপর ঘষা লেগে কুঁচকির দুই পাশ ছড়ে যেতে থাকে। আমাদের দেশের আবহাওয়াতে সংক্রমণ খুবই দ্রুত ছড়ায়। তাই চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব শিশুর শরীরকে নির্ভার ও শুকনা রাখতে।