স্তনপান

ব্রেস্ট পাম্প কী, কিভাবে ব্যবহার করতে হয়?

কর্মজীবী মায়েরা যখন মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগ দেন, তখন তাদের প্রধান আশঙ্কার বিষয় বাচ্চার খাবার। কর্মস্থলে থাকার কারণে বাচ্চা দীর্ঘ সময় ধরে মায়ের দুধ থেকে বঞ্চিত হয়। কর্মজীবী মা হিসেবে আপনি যদি অনাকাঙ্খিত এসব সমস্যা থেকে বাচ্চাকে দূরে রাখতে চান, তাহলে আপনার জন্য ভাল উপায় হলো বুকের দুধ ব্রেস্ট পাম্প দিয়ে সংগ্রহ করে বাচ্চার জন্য রেখে যাওয়া।

ব্রেস্ট পাম্প কি?

ব্রেস্ট পাম্প মূলত একটা ছোট/মাঝারি আকারের যন্ত্র যার সাহায্যে হাতের ব্যবহার ছাড়াই মায়ের বুকের দুধ বের করে ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করা যায়। ব্রেস্ট পাম্প সাধারনত দুই ধরনের হয়ে থাকে ম্যানুয়াল ব্রেস্ট পাম্পইলেক্ট্রিক ব্রেস্ট পাম্প। ব্রেস্ট পাম্প ছাড়াও বুকের দুধ হাত দিয়ে চেপে বের করে রাখা যায়, যা পরে বাচ্চা খেতে পারে। এতে বাচ্চা দীর্ঘসময় মায়ের দুধ থেকে বঞ্চিত হয় না।

ব্রেস্ট পাম্প ব্যবহারের নিয়ম

ব্রেস্ট পাম্প ব্যবহারের সঠিক নিয়ম না জানার কারণে অনেকের কাছে বিষয়টা অসুবিধাজনক মনে হয়। আবার অনেকে মনে করে বুকে পর্যাপ্ত দুধ নেই তাই পাম্প করলে দুধ আসে না। কেউ কেউ ভাবেন, এভাবে দুধ বের করতে গেলে স্তন ব্যথা হয়ে যায়। আসলে সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম অনুসরণ করলেই খুব সহজেই ব্রেস্ট পাম্প করে বুকের দুধ সংরক্ষণ করা যায়।

ব্রেস্ট পাম্প ব্যবহারের নিয়ম
ব্রেস্ট পাম্প ব্যবহারের নিয়ম

প্রথমত, মা-কে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি জাতীয় খাবার বেশি করে খেতে হবে। স্তন্যদানকারি মায়েদের নিয়মিত দুধ খাওয়া উচিৎ। পাশাপাশি শাকসবজি , ফলমূল, মাছ, গোশত নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত। আর পানি খেতে হবে প্রচুর পরিমানে। প্রতিদিনকার খাবারে কালোজিরা রাখা যেতে পারে। এতে দুধের সরবরাহ ভালো হবে।

দ্বিতীয়ত, সাধারনত বাচ্চাদের দুই-স্তন থেকে অদল বদল করে দুধ খাওয়ানো হয়। যখন ব্রেস্ট পাম্প করতে হবে তার ছয়/আট ঘন্টা আগে থেকে শুধু একটি স্তন থেকে বাচ্চাকে খাওয়ানো হলে অন্য স্তনে দুধ জমে থাকবে। এমতাবস্থায় পাম্প করা হলে দুধ সহজেই আসবে।

প্রতিদিন একই সময়ে পাম্প করুন
প্রতিদিন একই সময়ে পাম্প করুন

তৃতীয়ত, প্রতিদিন একই সময়ে পাম্প করা হলে দুধের ফ্লো সেই সময়ে বেড়ে যাবে। যেমন সময়টা যদি সকাল ৭/৮ টা হয়, তখন সারারাত একটি স্তন থেকে না খাওয়ানোর ফলে সেখানে দুধ জমা হতে থাকে। এমন সময় পাম্প করা হলে দুধ বের হবে। আবার অফিস থেকে ফিরে রাত ৮/৯ টার দিকে আরেকবার পাম্প করা যায়। তখন সারাদিনের দুধ জমে থাকে। এভাবে দু’বারে অনেখানি দুধ বাচ্চার জন্য রেখে যাওয়া সম্ভব হবে।

এছাড়াও ব্রেস্ট পাম্প করার সময় প্রশান্ত মন বেশ দরকারি, কারণ অনেক সময় মানসিক অস্থিরতার কারণে দুধের প্রবাহ কমে যেতে পারে।

Back to top button