শীতে শিশুর গোসলে সতর্কতা
ঠান্ডার আমেজ জানান দিচ্ছে শীত এসেই গেল প্রায়। আসি আসি করে শীত চলেই এসেছে। রাজধানীতে একটু কম অনুভব হলেও ঢাকার বাহিরে জাঁকিয়ে শীত পড়ে গেছে ইতিমধ্যে। আর শীত মানেই গোসলের সময় শিশুদের অনীহা এবং নানা রকমের বাহানা।
আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময়ে ঠান্ডা লেগে সর্দিকাশি, জ্বর প্রায় প্রতি ঘরেই হয়। বিশেষ করে শিশুদের খুব তাড়াতাড়ি ঠান্ডা লেগে যায়। তাই অনেকেই শীতের মৌসুমে শিশুকে রোজ গোসল করাতে চান না। কিন্তু এই অভ্যাস ঠিক নয়। সঠিক নিয়ম মানলে শীতের সময়েও শিশুকে রোজ গোসল করালে সর্দিকাশি হবে না।
পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতার জন্য গোসলের বিকল্প নেই। কিন্তু শীতকালে কীভাবে গোসল করালে শিশুকে সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া থেকে দূরে রাখা যাবে, আবার শিশুর পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতার দিকটাও ঠিক থাকবে—এই দুই দিকেই সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। আর তাই শীতের সময় শিশুদের গোসল নিয়ে অভিভাবকদের যেসব সতর্কতা মেনে চলা উচিত তা নিম্নে দেওয়া হল।
১. পানির তাপমাত্রা
শীতে শিশুকে গোসলের সময় পানির তাপমাত্রার দিকে নজর দেওয়া উচিত। খুব গরম বা খুব ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করানো উচিত নয়। তাদের গোসল করার জন্য সবসময় উষ্ণ গরম পানি ব্যবহার করা উচিত। এ জন্য কিছুক্ষণ পানিতে হাত ডুবিয়ে রাখুন। দেখুন যদি পানি একটু গরম বা ঠান্ডা মনে হয়, তা হলে শিশুকে গোসল করার আগে এর তাপমাত্রা সামঞ্জস্য করুন।
২. নির্দিষ্ট সময়
শীতে শিশুর গোসলের জন্য নির্দিষ্ট সময় রাখতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ, খুব বেশি বেলা করে গোসল করানো উচিত নয় আবার খুব সকালেও গোসল করানো উচিত নয়। সকালের দিকে ভাল করে তেল মালিশ করে উষ্ণ গরম পানিতে শিশুকে গোসল করানো ভালো।
৩. গোসলের স্থান
শীতে শিশুকে খোলা স্থানে গোসল না করানোই ভালো। তাহলে চারপাশের ঠান্ডা বাতাসে শিশুর আরও দ্রুত ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। খেয়াল রাখতে হবে, শিশুর গোসলের স্থানটি যেন উষ্ণ হয়। সেখানে যেন ঠান্ডা বাতাস ঢুকতে না পারে। গোসলের পরে ভাল করে গা, হাত-পা মুছিয়ে শুকনো ও নরম তোয়ালে দিয়ে মুড়ে দিন শিশুকে
৪. বেশিক্ষণ ধরে গোসল নয়
শিশুকে বেশিক্ষণ ধরে গোসল করানো উচিত নয়। ৫ থেকে ১০ মিনিটের গোসলই শিশুর জন্য যথেষ্ট। এছাড়া শীতে শিশুকে প্রতিদিন শ্যাম্পু বা সাবান দেওয়া উচিত নয়। এতে শিশুর ত্বক রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। শিশুকে গোসলের পর যে পোশাক পরানো হবে, সেটা হাতের কাছে থাকা উচিত, যেন মুছিয়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিয়ে দেওয়া যায়।
৫. গোসলের পর ময়েশ্চারাইজার
শীতের সময় সাধারণত সবার ত্বকই রুক্ষ ও খসখসে হয়ে যায়। তাই গোসলের পর বাচ্চার গায়ে বয়স উপযোগী ময়েশ্চারাইজার লাগানো উচিত। এছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বেবি ওয়েল ও ব্যবহার করা যেতে পারে।