স্তনপান

নবজাতককে দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো খেয়ার রাখা জরুরি

শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের খাদ্য উপাদানই মায়ের দুধে থাকে। সন্তান জন্মের পরপর যে হলুদ রঙের শালদুধ নিঃসরিত হয়, তা নবজাতকের রোগ প্রতিরোধে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

নবজাতকের বয়স ছয় মাস পর্যন্ত বুকের দুধই একমাত্র ও আদর্শ খাবার। ছয় মাস পর থেকে শিশুর পুষ্টিচাহিদা পূরণে, তথা স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য বুকের দুধের পাশাপাশি পরিপূরক খাবার খাওয়ানো দরকার। মায়ের দুধে সব ধরনের খাদ্য উপাদানই থাকে। এ ছাড়া জন্মের পরপর যে হলুদ রঙের শালদুধ নিঃসরিত হয়, তা নবজাতকের রোগ প্রতিরোধে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মায়ের বুকের দুধ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমাতা বাড়ায়
মায়ের বুকের দুধ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমাতা বাড়ায়

মায়ের দুধ সহজপাচ্য, বিশুদ্ধ এবং এতে রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান থাকে বলে যেকোনো সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। মায়ের দুধ পানকারী শিশুদের হাঁপানি, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, স্থূলতা, টাইপ-১ ডায়াবেটিস, কানের প্রদাহ, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা (ডায়রিয়া, বমি), সিডস (সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিনড্রোম) ইত্যাদির আশঙ্কা কম। যে মায়েরা শিশুকে বুকের দুধ পান করান, তাঁদেরও উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্তন ও জরায়ুর ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।

নবজাতককে দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো খেয়ার রাখা জরুরি:

দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো খেয়ার রাখা জরুরি
দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো খেয়ার রাখা জরুরি
  • নবজাতকের পুষ্টি নিশ্চিত করতে মাকে অবশ্যই সুষম খাবার খেতে হবে।
  • প্রতিবার দুধ খাওয়ানোর আগে মাকে এক থেকে দুই গ্লাস পানি অথবা তরল খাবার খেতে হবে।
  • দুধ খাওয়ানোর সময় কোনো রকম তাড়াহুড়া করা যাবে না। প্রশান্ত মনে, ধৈর্যসহকারে খাওয়াতে হবে।
  • বসে খাওয়াতে চাইলে মায়ের পিঠের পেছনে এবং কোলের নিচে বালিশ নিয়ে আরাম করে বসতে হবে। শুয়ে খাওয়াতে চাইলে শিশুকে মায়ের দিকে পাশ ফিরিয়ে এমনভাবে শোয়াতে হবে, যেন মা হাত দিয়ে শিশুর পশ্চাদ্দেশ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেন।
  • শিশুর নাক যেন চাপে না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • দুই ঘণ্টা পরপর শিশুকে বুকের দুধ দিতে হবে। রাতে ঘুমানোর সময় একটানা চার ঘণ্টা বিরতি দিলেও কোনো সমস্যা নেই।
  • কর্মজীবী মায়েরা কাজে থাকাকালীন শিশুর যাতে বুকের দুধের অভাব না হয়, সে জন্য ব্রেস্ট পাম্পের মাধ্যমে দুধ সংগ্রহ করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। তবে ফ্রিজ থেকে বের করে ঠান্ডা দুধ শিশুকে দেওয়া যাবে না। একটি পাত্রে গরম পানিতে দুধের পাত্র রেখে নেড়ে নেড়ে শিশুর খাওয়ার জন্য সহনীয় করতে হবে।
  • মায়েরা ভালো করে সাবান–পানি দিয়ে হাত ধুয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে শিশুকে দুধ পান করাবেন।
Back to top button