আপনার শিশুকে হাঁটতে শেখাবেন যেভাবে
শিশুর দেরি করে হাঁটা কোন জিনগত বৈশিষ্ট্য নয়। এটা নির্ভর করে চেষ্টার উপর। আর এই চেষ্টাটা মূলত অভিভাবককেই করতে হবে। শিশুর হাঁটা শেখা নিয়ে দারুণ কিছু টিপস নিচে দেয়া হলো।
আগেই শুরু হোক
‘বয়স আরেকটু হোক, আপনাতেই হাঁটা শিখে যাবে, এমনটা ভাবলে শিশু নিজের পায়ে দাঁড়াতে সময় নেবে। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন বয়স সাত মাস হতেই শিশুকে হাঁটি হাঁটি পা পা করাতে হবে। মাসল মেমোরি বলে একটা কথা আছে। যার কারণে আমরা হাঁটা শিখি, মশা তাড়াতে জানি ও গিটার বাজানো শিখতে পারি। যত দ্রুত শিশুকে ধরে ধরে হাঁটানোর প্র্যাকটিস করানো হবে, তত তাড়াতাড়ি তৈরি হবে শিশুর মাসল মেমোরি তথা মাংসপেশীর স্মৃতি।
খালি পা
পায়ের নিচের মাটিটা (কিংবা ফ্লোর) কেমন, সেটা অনুভব করা চাই। এতে করে হাঁটার ওপর নিয়ন্ত্রণ তৈরি হবে ভালোমতো। সারাক্ষণ জুতো পায়ে হাঁটতে গেলে দেখা যাবে উঁচু-নিচু রুক্ষ পথ পাড়ি দিতে অবচেতন মন বাধা দেবে শিশুকে। তা ছাড়া খালি পায়ে হাঁটলে ভারসাম্যের ব্যাপারটাও পোক্ত হবে।
শুধু কথায় পা চলবে না
শিশুতো শিশুই। এমনি এমনি বললে কি আর শুনবে? খানিকটা হেঁটে এগিয়ে আসলেই মিলবে একটা চকচকে লাল খেলনা, তবেই না তার মগজে তৈরি হবে হাঁটার সূত্র!
ছন্দে ছন্দে
হাঁটার সাথে জুড়ে দিতে পারেন সংগীতের তাল। সাধারণ ছন্দও কিন্তু শিশুর ব্রেনে হাঁটার উদ্দীপনা তৈরি করতে পারবে।
দেখেও শিখুক
নিজে বসে থেকে শিশুকে শুধু হাঁটাতে বললে হবে না। তাকে দেখাতেও হবে। বসা থেকে কী করে সোজা হয়ে উঠতে হয়, কী করে পা ফেলতে হয় এসব যত দেখবে তত দ্রুত হাঁটতে শিখবে।
কোল থেকে নামান
এটা পরীক্ষিত সত্য যে সারাক্ষণ কোলে রাখলে শিশু অলস হয়ে যায়। তাই কান্নাকাটি খানিকটা উপেক্ষা করে বেশিরভাগ সময় হামাগুড়ি দিতে দিন, যাতে ওরা নিজের পায়ের কাজটা বুঝতে শেখে।
মাসাজ
মাঝে মাঝে পাগুলোকে আলতো করে মাসাজ করুন। এতে লিম্ব ও মাংসপেশী নিজের কাজ বুঝে নেওয়ার জন্য তৈরি হবে। তবে এ ধরনের মাসাজের জন্য শিশুর শরীর তৈরি হয়েছে কিনা তা জানতে শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন।